
সংগৃহীত ছবি
ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন আমাদের দেশে ধর্ষণের ঘটনার বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা রয়েছে। ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধের বিচার করার জন্য সমাজ প্রস্তুত না। এই জায়গা থেকে আমাদের সরে আসতে হবে; আজকে খুব ক্ষীণভাবে হলেও ধর্ষণের ঘটনার বিচারের জন্য সকলের মধ্যে জাগরণ দেখতে পাচ্ছি, এই জাগরণকে ধরে রাখতে হবে, ধর্ষনের ঘটনার সাথে যুক্ত অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং ধর্ষণের শিকার নারী ও কন্যাকে সমাজে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
শুক্রবার সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় শোক জানিয়ে “আমরা বিক্ষুদ্ধ,শোকাহত, প্রতিবাদ জানাই’’এই বিষয়টিকে ধারণ করে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত একটি মৌন প্রতিবাদ মিছিল শেষে সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম একথা বলেন।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাখদুমা নার্গিস রত্না, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা বেগম সহ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, সম্পাদকমন্ডলী, ঢাকা মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ, নারী ও কন্যা নির্যাতন এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ, সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, সংগঠনের কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম আরো বলেন, দীর্ঘ সময়ের নারী আন্দোলনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি ধর্ষণ হলো পুরুষতান্ত্রিকতার বহি:প্রকাশ। এই পুরুষতান্ত্রিকতাকে ভাঙতে নারীর হাতেও ক্ষমতার অংশীদারিত্ব দিতে হবে; সম্পদ-সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমান অধিকার দিতে হবে; নারী ও পুরুষ উভয়কে মানুষ হিসেবে ভাবার সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে, এই বিকাশের জন্য আমরা আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাবো এবং এভাবেই আমরা ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধকে নির্মূল করতে সক্ষম হবো-
সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, দেশজুড়ে ক্রমাগত নারী ও কন্যার প্রতি ধর্ষণের ঘটনায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও বিক্ষুদ্ধ। ধর্ষণের মত এই সহিংসতা মোকাবেলা করতে ও সকলকে সচেতনভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সংগঠন দেশব্যাপী কর্মসূচি পালন করছে। তিনি এসময় নারীর প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতা বন্ধে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের জোর দাবি জানান।
//এল//