সংগৃহীত ছবি
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিল্পীদের নিয়ে বিস্ময়ের অভিযাত্রী, কাননের কোকিল’ নামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে বিভিন্ন নান্দনিক ও মনোজ্ঞ পরিবেশনা উপস্থাপন করেন শিল্পীরা।
বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) , সন্ধ্যা ৬ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে একাডেমির নন্দনমঞ্চে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘বিস্ময়ের অভিযাত্রী, কাননের কোকিল’।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (সচিব পদমর্যাদা) ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. সায়মা আরজু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগ পরিচালক মেহজাবীন রহমান।
সুইড ফাউন্ডেশন-এর সমবেত নৃত্য ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থান’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। একক সংগীত পরিবেশন করেন সুজন রহমান। এরপর স্পর্শ ফাউন্ডেশনের মোহিনী আক্তার ‘ছাড়পত্র’ কবিতা আবৃত্তি করেন; ‘ধন ধান্য পুষ্পভরা’ গানটি দ্বৈত কণ্ঠে পরিবেশন করেন বীথি ও স্মৃতি। ‘কান্ডারী হুশিয়ার’ কবিতা আবৃত্তি করেন তরিকুল ইসলাম নাজিম এবং একক সংগীত ‘যেখানেই সীমান্ত তোমার’ পরিবেশন করেন সাইফুদ্দিন রাফি। সায়মা আক্তার ইমা পরিবেশন করেন ‘আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন ও ‘দেখেছি রূপসাগরে মনের মানুষ’ গান দুটি। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন সুইড ল্যাবরেটরী মডেল স্কুল। একক সংগীত পরিবেশন করেন শাহীন রেজা রাসেল।
শিল্পীদের উৎসাহিত করে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (সচিব পদমর্যাদা) ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবাই সবকিছু দেখি না, আমরা সবাই সব রং একভাবে দেখি না। আমরা সবাই সব শব্দ, সব গান, সব স্বাদ একইভাবে উপলদ্ধি করি না। সেই অর্থে আমরা সবাই বিশেষ। আমাদের কোনো কারণে মনে করা উচিত না আমার দুটো পা, দুটো হাত ও দুটো চোখ আছে বলেই আমি ঐ বিশেষ শিশুর ক্যাটাগরিতে পড়ি না। আমারও কিছু সমস্যা আছে। এরকম নানান জায়গায় নানান ক্যাটাগরিতে যদি দেখি প্রত্যেক মানুষেরই কিছু দুর্বলতা আছে, কিছু ব্যর্থতা আছে, কিছু না পারা আছে। কাজেই আমাদের পরিস্থিতিকে সেলিব্রেট করা উচিত।
মহাপরিচালক আরো বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকেরই ব্যর্থতা আছে এবং আমরা একে অপরকে যেন সাহায্য করে যাই। এই অনুষ্ঠানে বসে থাকা শিশুদের মতো করে জীবনটাকে দেখতে চাই এবং অনুপ্রাণিত হতে চাই। আমি আশা করি আগামীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আরো বেশি করে প্রোগাম হাতে নেবে, যেন এই বিশেষ শিশুরাও আমাদের এই কাননের বিশেষ কোকিল হয়ে মুগ্ধ করতে পারে।’
//এল//