সংগৃহীত ছবি
ধর্মের অপব্যবহার করে একজন নারীকে হেনস্থা এবং জোরপূর্বক অন্য পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা বেআইনি এবং অগ্রহণযোগ্য। এই ঘটনা সমাজে নারীদের অবস্থান এবং তাদের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। সেই সাথে সরকারের কাছে ফতোয়া কার্যকরের নামে বিচার বহির্র্ভূত শাস্তি দেওয়াকে বেআইনি ঘোষণা করে দেওয়া বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের ২০১১ সালের রায়ের বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে।
রবিবার মহিলা পরিষদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, গত ১৪ ডিসেম্বর শনিবার ঘটনার শিকার ওই নারীর সাথে তার স্বামীর ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় তারা বিয়ে করতে চাইলে ওই নারী গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার টেপেরবাড়ি পশ্চিম পাড়া এলাকার আরফান আলী শাহী মসজিদের মাদ্রাসাশিক্ষক ইসমত আলী আশেকীর কাছে এ বিষয়ে জানতে আসেন। এসময় মসজিদের ইমাম কফিল উদ্দিন জামে মসজিদে হিল্লা বিয়ের ফতোয়া দিয়ে মাদ্রাসার ইমাম তার পরিচিত মাদ্রাসাশিক্ষক ইসমত আলী আশেকীর সাথে ওই নারীকে হিল্লা বিয়ে পড়িয়ে দেন।
এরপর ইসমত আলী আশেকী ইমাম কফিল উদ্দিনকে পাহারায় রেখে মসজিদের ভেতরেই ওই নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নিন্দা জানিয়েছে।
//এল/