সংগৃহীত ছবি
সমাজে নারী নেতৃত্ব চর্চা এখনো সেভাবে গড়ে উঠতে পারেনি। নারীকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। নারীকে ঘর থেকে এখনো বের করে আনার কথা বলতে হচ্ছে একশত বছর পরও। রোকেয়ার মূল ভাবনায় এখনো আমরা পৌঁছুতে পারিনি
সোমবার বিকেলে নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার আয়োজনে রোকেয়া দিবস ২০২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও নারী নেতৃত্ব শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, সভাপ্রধান বিশিষ্ট লেখিকা অধ্যাপক অনামিকা হক লিলি, প্রধান বক্তা , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট তসলিমা আক্তার ।
এছাড়া বক্তব্য দেন অধ্যাপক ফ্লোরা সরকার, লেখিকা নিগার সুলতানা, ড. মোতাহারা বানু।
এছাড়াও বক্তব্য দেন জাকিয়া শিশির, মিরপুর বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী তাহমিনা শারমিন যুথি, অ্যাডভোকেট সুলতানা আক্তার রুবি, শিক্ষক বীথি ঘোষ, গার্মেন্টস শিল্পী আসমা আক্তার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নারী গ্রন্থ প্রবর্তনার পরিচালক সীমা দাস সীমু।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা রাজপথে এসেছে। আন্দোলন করেছে, আহত হয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব অনেক। ছাত্রীরা যারা ছাত্রদের আগলে রেখেছিলেন বিপদ থেকে, অভিভাবকরা যারা আগলে রেখেছিলেন সন্তানের মত । সেই নারীরা আজ নেতৃত্বে নেই। বিভাজনের কারণে নারী নেতৃত্ব দুর্বল হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, সংস্কার কমিটি হলেও কোনো নারী সংগঠনের সঙ্গে তারা কথা বলছেন না।
সামিনা লুৎফার মতে, সামাজিক আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনে নারীদের জোরালো ভূমিকা দেখা যায়। তাদের আর রাজনৈতিক ভূমিকায় দেখা যায়নি। জুলাই অভ্যুত্থানের পর, দু -তিনজন নারীকে দেখা যায়। বাকিরা হারিয়ে গেছে।
বীথি ঘোষ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস থেকে বেছে বেছে হিরোদের বের করে আনা। নারী পুরুষ উভয়কেই বের করে আনতে হবে।
গণঅভ্যুত্থানে রাজধানী শনির আখড়ার আসমা আক্তার গুলিতে চোখ হারিয়েছেন। কিন্তু পাননি কোনো সরকারি সহায়তা। তিনি দুর্ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন সকলের সামনে।
//এল//