সংগৃহীত ছবি
আমরা এগিয়ে যাব বহূদূর। একইসাথে রোকেয়ার অনুসারীরা তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে এগিয়ে যাবেন- সেই দিন বেশি দূরে নয় যেদিন পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে সমতা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আহ্বান জানান বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম।
শনিবার ( ০৭ ডিসেম্বর ) সকাল সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও বিডি রানার্স এর যৌথ উদ্যোগে রোকেয়া দিবস-২০২৪ পালন উপলক্ষ্যে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রোকেয়া রান এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডা. ফওজিয়া মোসলেম এ কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রোকেয়া রান অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি সকল জড়তা, ক্লান্তি এবং আড়ষ্টতা কাটিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাক বহুদূর- এই প্রত্যাশা রেখে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
এছাড়া বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্ট জয়ী ও পর্বতারোহী নিশাত মজুমদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা।
সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এই উপমহাদেশের তথা বিশ্বের একজন নারীবাদী, চিন্তক, দার্শনিক এবং লেখক। তিনি নারীমুক্তির স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছন। শুধু নারী সমাজের জন্য নয়, বরং নারী-পুরুষ সকলকে নিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা ও ভাবনা ছিলো রোকেয়ার মধ্যে। তাঁর জন্মের এত বছর পর আজকের সমাজ, নারীসমাজ এবং রাষ্ট্র তাঁর ভাবনাকে গ্রহণ করেছে। বাস্তবায়নের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে-এমনটি বলা যায়। আজকের বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচি তথা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ০৫ নং লক্ষ্যমাত্রা - ‘জেন্ডার সমতা অর্জন এবং সকল নারী ও কন্যাদরে ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে রোকেয়ার স্বপ্নের প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই। তাঁর স্মরণে আজকের রোকেয়া রান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সমাজকে আরো এগিয়ে নিতে সকলে নিজেদেরকে উদ্বুদ্ধ করবো।
অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্ট জয়ী ও পর্বতারোহী নিশাত মজুমদার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি চাই প্রতিবছর এই শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এসে আনন্দের সাথে রোকেয়া রান- কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে দিনটি উপযাপন করা হবে। তিনি রোকেয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নারী-পুরুষের সমতা অর্জন এবং সহিংসতামুক্ত পরিবার ও সমাজ গড়ার আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী বক্তব্য শেষে দৌড়ের নিয়ম-নীতি ও রুট সম্পর্কে অবহিত করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সিউতি সবুর। এরপর সমবেতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও রোকেয়ার প্রতিকৃতিতে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে রোকেয়া কমিউনিটি রান এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
কমিউনিটি দৌড় শেষে সংহতি প্রকাশ করে রানার্স একটিভিস্টদের মধ্যে বক্তব্য দেন বসুন্ধরা কমিউনিটি, আগারগাঁও কমিউনিটি, অভিযাত্রী কমিউনিটি, চন্দ্রিমা রানার্স, মিরপুর রানার্স এর সদস্যবৃন্দ।
তারা বলেন, মেয়েদের দৌড়ানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা বিপত্তি থাকা সত্ত্বেও অনেক নারী দৌড়ানোর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। আগামীতে আরো বড় পরিসরে এই কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান তারা। তারা এসময় নারী ও কন্যার প্রতি সকল প্রকার সহিংসতামুক্ত পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
//এল//