সংগৃহীত ছবি
সাত বছরে বিএইচবি কর্মসূচি আওতায় ২ হাজার ৮৩৫ টি মাতৃমৃত্যু রোধ হয়েছে। ১৮লাখ ৩৭ হাজার ৬৮২ টি নিরাপদ সন্তান জন্মদানে সহায়তা দিয়েছে। ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৫১৯ জন নারীকে আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পরিষেবা প্রদান করেছে।
৪ লাখ ২০ হাজার শিশুর জন্য পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিত হয়েছে। জরায়ুর ক্যান্সারে ১০ লক্ষেরও বেশি নারীর স্ক্রীনিং করেছেরা হয়েছে । ১০ হাজার ৩৪৫ টি ফার্মেসি ও ওষুধের দোকানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে । যুক্তরাজ্য হতে প্রদত্ত কভিড ১৯ ভ্যাকসিনের মাধ্যমে ৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে টিকাদান দিয়েছে। ১৬ হাজার ৬৫১ জন পরিষেবা প্রদানকারী, স্থানীয় কমিউনিটির নেতাদের জলবায়ু-সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং উন্নত ডিজিটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ এবং তাদের সহযোগী বাস্তবায়ন সংস্থা ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড বাজেটের “বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশ (বিএইচবি)” প্রোগ্রামের সফল সমাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো সাইদুর রহমান,চিকিৎসা শিক্ষা পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ সারওয়ার বারী, বৃটিশ হাই কমিশনের উপ হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান, ইউএনএফপিএর উপ প্রতিনিধি মাসাকি ওতাবে। প্যানেল আলোচনা সঞ্চালনা করেন পিপি সির নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রফেসর হোসাইন জিল্লুর রহমান। আলোচক ছিলেন সাবেক সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, চেয়ারপারসন ড. মায়া ভেনডেনমেন্ট, অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ, ডা. হালিদা হানুম আক্তার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা, উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিনিধি, এনজিও/আইএনজিও, শিক্ষাবিদ এবং কার্যক্রমটির সুবিধাভোগীরা ।
বেটার হেলথ ইন বাংলাদেশ (বিএইচবি) প্রোগ্রামটি একইসাথে বিশ্বব্যাংক পরিচালিত মাল্টি-ডোনার ট্রাস্ট ফান্ড (এমডিটিএফ) এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ৪র্থ স্বাস্থ্য জনসংখ্যা পুষ্টি সেক্টর প্রোগ্রাম (এইচপিএনএসপি) কেও সহায়তা করেছে।
বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক দাতা হিসাবে, যুক্তরাজ্য মা, নবজাতক, ও শিশু স্বাস্থ্য (এমএনসিএইচ) এবং পরিবার পরিকল্পনার (এফপি) পরিষেবা উন্নত করার লক্ষ্যে ১৬টি বিতরণ-সংযুক্ত সূচক বাস্তবায়নে ৩৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান করেছে৷ এমডিটিএফ ছাড়াও, বিএইচবি-এর বাস্তবায়ন সহযোগী সংস্থা হিসেবে ইউএনএফপিএ, ডব্লিউএইচও, ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস ফর হেলথ (এমএসএইচ), এবং আইসিডিডিআরবির কারিগরি সহায়তা, স্বাস্থ্যখাতে জড়িত ব্যক্তিদের জ্ঞান সমৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
//এল//