সংগৃহীত ছবি
আগামী অর্থবছরে জেন্ডার বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দুর্নীতি দূর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
রোববার (৯ জুন) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে ‘নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগ : প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৪-২৫ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে’- এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদা রেহানা প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে মালেকা বানু বলেন, নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠার দাবিতে প্রণীত জেন্ডার বাজেট কোনো আলাদা বাজেট নয়, বরং সামগ্রিক বাজেটের একটি রূপ। এবারের জেন্ডার বাজেটের যথাযথ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং দুর্নীতি দূর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরমিন্দ নিলোর্মী।
তিনি বলেন, জেন্ডার বাজেটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় মেয়েদের পিছিয়ে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করে এর কারণ হিসেবে বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং, স্কুলে স্যানিটেশন ও হাইজিন সমস্যা চিহ্নিত করে এগিয়ে যাওয়ার বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশসমূহ মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ খানিকটা করলেও অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে বলে বাজেটে উল্লেখ করা হয়েছে। যা দূরীকরণ একক কোনো মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। অর্থবিভাগের জেন্ডার বাজেট প্রস্ততকারী উইংয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্দিষ্ট কার্যক্রমসমূহকে মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হলে বাজেটের কার্যকর বাস্তবায়নে একটি বড় অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মডারেটরের বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রস্তাবিত জেন্ডার বাজেটে করণীয় উত্থাপনের মাধ্যমে সরকার, নারী আন্দোলনের অবস্থান পরিষ্কার করা এবং সমন্বিতভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে জেন্ডার বাজেটের লক্ষ্যের সঙ্গে নারী আন্দোলনের লক্ষ্য সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে সামাজিক অগ্রগতি খুব অগ্রসর হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ না দিয়ে বরং কালো টাকার পাহাড় যাতে কেউ গড়তে না পারে তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বক্তারা।
এ ছাড়া নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, নারীর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও শ্রমবাজার এবং আয় মূলক কাজে নারী অংশগ্রহণ এবং সর্বজনীন সেবায় পাবলিক সার্ভিস নারীর অভিগম্যতা বৃদ্ধি ইত্যাদি উন্নয়ন প্রকল্প এবং কর্মসূচির পর্যালোচনা করা হয়েছে। এ বছরের ১০টি মন্ত্রণালয়ের জেন্ডার বাজেটে পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্লেষণ সমেত বরাদ্দ পেশ করা হয়েছে। যেখানে ওই মন্ত্রণালয়/বিভাগের ম্যান্ডেড সংশ্লিষ্ট নারী উন্নয়ন কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সমূহ ‘সার্বিক’ না হলেও খানিকটা বাস্তবানুগভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে।
//এল//