ছবি: সংগৃহীত
শিশুর সর্বোচ্চ বয়স ১৮ বছর থেকে কমিয়ে আনার প্রস্তাবে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্বেগ।
গণমাধ্যমে পাঠানো শিশুর সর্বোচ্চ বয়স ১৮ বছর থেকে কমিয়ে আনার প্রস্তাবে নারীবাদি সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে শুক্রবারের (৩ জুলাই) বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার খবরের বরাতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রীসভা কমিটির সভায় সাভারে শিক্ষক হত্যাসহ কিশোর অপরাধ বিস্তারের ঘটনা উল্লেখ করে শিশুর সর্বোচ্চ বয়সসীমা ১৮ বছর থেকে কমানোর সুপারিশ এসেছে বলে জানা যায়। শিশুর বয়স কমানোর এই সুপারিশ বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃত শিশু বিষয়ক আন্তর্জাতিক নীতিমালার পরিপন্থী বলে মনে করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ সরকার শিশু সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সকল সনদ বিচারবিবেচনা করে শিশুর সর্বোচ্চ বয়স ১৮ বছর নির্ধারণ করে শিশু নীতি ২০১১ এবং শিশু আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের মতে, শিশুর সার্বিক বিকাশ ও সর্বোচ্চ কল্যাণের দিক বিবেচনায় নিয়ে সুষ্ঠু পারিবারিক-সামাজিক পরিবেশ; সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার ব্যবস্থা; মানবিকবোধসম্পন্ন, যুক্তিবাদী বিজ্ঞাননির্ভর সৃজনশীল শিক্ষা এবং বিভিন্ন ধরণের অপরাধে জড়িয়ে পড়া শিশুদের সংশোধনের জন্য সংবেদনশীল প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
শিশু-কিশোরদের মারাত্মক ধরণের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার পিছনে মূল ব্যক্তিদের সনাক্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনা প্রয়োজন। শুধুমাত্র বয়স কমিয়ে শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে শিশু-কিশোর অপরাধের মতো জটিল মনো-সামাজিক সমস্যার সমাধান করা যাবে না, বরং এতে বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যা আরো প্রকটাকার ধারণ করবে বলে আশংকা করে সরকারের আইনশৃংখলা সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির সভার প্রস্তাবে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
//জ//