জাতীয়
শিগগিরই কূটনীতিকদের সঙ্গে বসছেন খালেদা
ওমেন আই:
‘একতরফা’ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এ সরকারকে কূটনৈতিকভাবে চাপে রাখার এবং আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে করে রাখার চেষ্টা করছে বিএনপির হাইকমান্ড। এর অংশ হিসাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন।
চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে বিরতিহীন অবরোধ-হরতাল কর্মসূচীর সঙ্গে সঙ্গে সরকারকে চাপে রাখার নানামূখী উদ্যোগ নিচ্ছে বিরোধী দল।
জানা গেছে, দুই একদিনের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করবেন খালেদা জিয়া। বিএনপি চেয়রাপার্সনের দুইজন উপদেষ্টা এবং একজন ভাইস চেয়ারম্যান বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বৈঠকের সময় ঠিক করছেন। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের সময়সূচী ঠিক হয়েছে।
দলীয় একটি সূত্রে জানিয়েছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে একতরফা, অগ্রহণযোগ্য ও প্রহসনের নির্বাচন আখ্যা দিয়ে নির্বাচনের পুরো চিত্র লিখিত ও ভিডিও এই দুই মাধ্যমে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে পাঠানো হতে পারে। একই সঙ্গে বর্তমান সরকারকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে সরকারের উপর কূটনীতিক চাপ বাড়াতে অনুরোধ করবে বিএনপি।
একই সঙ্গে আগামী দুই এক দিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে তা বাতিলের দাবি জানাতে পারেন খালেদা জিয়া। এবং নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করতে পারেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের এক উপদেষ্টা এটিএন টাইমসকে বলেন, যে নির্বাচন হয়েছে এটি প্রহসন ছাড়া আর কিছুই না। আর এই নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারও অবৈধ। এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে দেশে বিদেশে আমরা জনমত তৈরি করবো। তিনি বলেন, আমাদের একটিই দাবি নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন। আর এই দাবি থেকে আমরা সরে আসবো না। তিনি আশাপ্রকাশ করেন, বহিবিশ্বে এই সরকার বৈধতা এবং সহযোগীতা পাবে না।