
সংগৃহীত ছবি
চলমান বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘটের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে জলবায়ু ন্যায়বিচারের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ সুরক্ষার দাবি জানিয়েছে কক্সবাজারের শতাধিক তরুণ। একই সঙ্গে এই ধর্মঘট থেকে ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানান তরুণ জলবায়ুকর্মীরা।
আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একশনএইড বাংলাদেশ-এর যুব প্ল্যাটফর্ম এক্টিভিস্টা কক্সবাজার আয়োজিত সমাবেশ থেকে বিশ্বনেতাদের কাছে এই আহ্বান জানানো হয়। ঝাউতলা মোড় থেকে শুরু হয়ে কক্সবাজার প্রেসক্লাব হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এসে সমবেত হন স্লোগানমুখর জলবায়ু যোদ্ধারা। সেখানে টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে জলবায়ুর জন্য ক্ষতিকর ও ব্যয়বহুল জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধের দাবি এবং ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিশ্ব নেতাদের প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর মাধ্যমে আন্দোলন কার্যক্রমের সমাপ্তি টানা হয়।
সমাবেশে জলবায়ু যোদ্ধারা জানান, উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে। তারা নব্য ঔপনিবেশিক শোষণ, যুদ্ধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে এই পৃথিবীকে ধ্বংস করছে।
তরুণ এক্টিভিস্টা আয়শা ছিদ্দিকা রিয়া বলেন, ‘যেভাবে বিশ্বজুড়ে জীবাশ্ব জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ছে, তাতে আমাদের ভবিষ্যত হুমকির মুখে। আমরা আমাদের ভবিষ্যত বিক্রি করতে দিতে পারি না।’
একশনএইডের কর্মকর্তা তাফহীমুল জান্নাত সিফাত বলেন, ‘ভবিষ্যত সুরক্ষার দাবি জানাতে আজকে কক্সবাজারের তরুণরা একত্র হয়েছে। আমাদের ভবিষ্যত সুরক্ষার জন্য জলবায়ুর ন্যায়বিচার ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এ ছাড়া ফিলিস্তিনে যে ধবংসযজ্ঞ চলছে আমরা তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। এটা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন। আজকের বৈশ্বিক ধর্মঘট থেকে আমরা সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহবান জানাচ্ছি।’
এই শান্তিপূর্ণ ধর্মঘটে তরুণ জলবায়ু কর্মীরা স্লোগান, প্ল্যাকার্ড, চিত্রকর্ম, গান এবং পোস্টার প্রদর্শনের মাধ্যমে জলবায়ু সুবিচারের দাবি জানান। জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবিতে তারা ‘ডোন্ট সেল আওয়ার ফিউচার’ ‘ফিক্স দ্য ফাইন্যান্স’, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করো’, ‘ক্ষতিকারক কৃষি চর্চায় বিনিয়োগ বন্ধ করো’, ‘ক্লাইমেট জাস্টিস নাউ’ এবং ‘জলবায়ু সহনশীল টেকসই কৃষি চর্চায় বিনিয়োগ করুন’সহ বিভিন্ন ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডে তারা নিজেদের দাবি তুলে ধরেন।
এছাড়া তরুণ জলবায়ু কর্মীরা কক্সবাজারের সুপেয় পানির সংকট, প্যারাবন নিধনের বিষয়ে সমাধানের দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা সমুদ্র ও পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলমান রাখার দাবি জানান। এই জলবায়ু ধর্মঘটে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন একশনএইড বাংলাদেশ-এর কর্মকর্তারা। তাদের সঙ্গে জলবায়ু ধর্মঘটে অংশ নেন কক্সবাজারের ছয়টি যুব সংগঠনের শতাধিক জলবায়ু যোদ্ধা।
//এল//