
ছবি সংগৃহীত
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা ও পৌরসভা যুবদলের বজুয়া অবৈধ ও বাণিজ্যিক ও পকেট কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে দলটির একাংশের নেতাকর্মিরা। একই সাথে কমিটি গঠনে ক্ষুব্ধ অংশের নেতাকর্মিরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমকে হাতিয়াতে প্রত্যাখানের ঘোষণা দেয়।
শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে উপজেলার ওছখালী শহরে তারা এ কর্মসূচি পালন করে।এতে দলটির নেতাকর্মিরা হাতিয়া উপজেলা যুবদলের নব ঘোষিত পকেট কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি ঘোষণার দাবি জানান।
বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন, হাতিয়া উপজেলা যুবদলের সদ্য বিদায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সদ্য সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শাহীন, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম শামীম, আব্দুর রব রাশেদ, হাতিয়া পৌরসভা যুবদলের বিদায়ী সদস্যসচিব মো. মোছলেহ উদ্দিন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, চোরা গোপ্তা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম এ পকেট কমিটি ঘোষণা করেন। এ কমিটি গঠন নিয়ে কারো সাথে কোন আলাপ আলোচনা করা হয়নি। যাদের দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা গত ১৭ বছর দলীয় কোন কর্মকান্ডে ছিলনা। এমন লোকদের দিয়ে কমিটি দেয়া হয়েছে তারা কমিটিতে পদ প্রত্যাশীও ছিলেন না। সমাবেশে অবিলম্বে এই পকেট কমিটি বাতিল করে দলের ত্যাগী ও যোগ্য নেতৃত্বকে মূল্যায়ন ও নতুন কমিটি ঘোষণার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় তারা বৃহত্তর কর্মসূচির ডাক দেবেন বলে হুশিয়ারি দেন। যুবদলের একাংশের নেতাকর্মিরা অভিযোগ করে আরও বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমকে স্বৈরাচারের দোসর ও বহিরাগত উল্লেখ করে হাতিয়াতে প্রত্যাখান ও রাজনৈতিক ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
যোগাযোগ করা হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের মুঠোফোনে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি লাইন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার কল করা হলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর মুঠোফোনে কল করা হলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ইউ