
সংগৃহীত ছবি
বন্দর নগরী বেনাপোলে নাসিম শেখের 'চা' পান না করলে যেন 'চা' খাওয়া হলো না। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসে লোকজন তৃপ্তি সহকারে 'চা' পান করতে বেনাপোল কাচা (তরিতরকারি) ও মাছ বাজারে নাসিম শেখের 'চা' দোকানে।
ফজরের নামাজের পর জমে উঠে নাসিম শেখের 'চা' দোকান।বেনাপোল, বড় আঁচড়া, গাতীপাড়া, ভবের বেড়, নারায়ণপুর, পাঠবাড়ী, দিঘির পাড় অঞ্চল থেকে লোকজন পায়ে হেঁটে জড়ো হয় এ দোকানে,সন্ধ্যায় বেশি ভিড় হয়।নাসিম শেখের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে 'চা' বিক্রি করে।দোকানের নেই কোন আলাদা ডেকোরেশন বা ভাল কোন বসার জায়গা।অথচ অফিসের পিয়ন থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, উকিল, শিক্ষক,ড্রাইভার রিকশা চালকরা নাসিম শেখের 'চা' পানে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ জন্য চায়ের কথা হলেই বলে উঠে৷ নাসিম শেখের 'চা'।
নিজের ও দোকানের কোন চাকচিক্য না থাকলেও তার দোকানে আছে বিভিন্ন ধরনের চায়ের সমাহার। বাজারে বিভিন্ন নামীদামী কোম্পানীর 'চা' থাকলেও সজীব কোম্পানীর বিত্তপি, স্বর্নচূড়া, রাজমাণ ও কনজুমার ভিআইপি ছোট-বড় প্যাকের 'চা' তিনি বেছে নিয়ে সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এক টানা চলতে থাকে 'চা' বিক্রি।প্রতিদিন তার দোকানে ২০ থেকে ৩০ কেজি ঘাটি গরুর দুধ বিক্রি হয়।
বর্তমানে তার দোকানে কর্মচারী ৩জন। এছাড়া শিফট অনুযায়ী পিতা-পুত্র দোকান চালায়। তার দোকানের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সাল হতে। প্রথম দিকে সে দোকানে লাল 'চা' বিক্রি করত। পরবর্তীতে সে গরুর দুধ দিয়ে বিভিন্ন দামের 'চা' বিক্রি করে যাচ্ছে। প্রতিদিন তার ৬০০ থেকে ৭০০ কাপ 'চা' বিক্রি হয়, এ ছাড় ডাল পুরিও বিক্রি হয়,এতে তার ৬ জনের পরিবারের সংসার ভালভাবেই চলে।নাসিম শেখের বাড়ী বেনাপোল পোর্ট থানার পাটবাড়ি। তার চাষের কোন জমি নেই।২জন ছেলে ১টি মাত্র মেয়ে সবার ছোট।
ছেলে দুটি পড়াশুনার পাশাপাশি দোকানে কাজ করে থাকে। ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ তার এই 'চা' দোকানের আয় থেকেই বহন করা হয়। নাসিম শেখে এ প্রতিবেদক কে জানায়, আল্লাহর অসীম রহমত তার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি আমি আর দশজনার তুলনায় অনেক সুখী।
//এল//