
সংগৃহীত ছবি
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক শিার্থীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। রোববার তাকে আদালতে নেওয়া হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় ছাত্র-জনতা তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে মারপিট করে। পরে পুলিশ তাকে করা পাহারায় জেলহাজতে নিয়ে যায়।
ঘটনার দিনই ওই শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিককে আসামী করে ভুল্লী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন শনিবার তার শিশু কন্যা বিদ্যালয়ে মানিকের কাছে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে প্রাইভেট পড়তে যায়। মানিক অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠিয়ে দিলেও গেলেও ওই শিক্ষার্থীকে একা থাকতে বলেন। পরে কৌশলে ওই শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে নিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ধর্ষন করেন। ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সকলকে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষনিক তাকে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
এ ঘটনার জেরে রোববার ধর্ষণ ও নীপিড়নের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁওসহ ছাত্র-জনতা পৌর শহরের চৌরাস্তায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন পালন করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যায়। জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতাকে এ ঘটানায় দ্রæত তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আশ্বাস প্রদান করেন। ওই দিন জেলা কালেক্টরেট চত্বর বিকেল পর্যন্ত ছাত্র-জনতা ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। যৌথবাহিনী তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কচুবাড়ি মাদারগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
//এল//