ছবি : আবু সাঈদের পরিবারের সাথে
নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার তার বক্তব্যের অপব্যাখ্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনে’র উদ্যোগে অংশীজনের সঙ্গে এক সফল সংলাপের পর স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ভবিষ্যতের নির্বাচন সম্পর্কে আমার কাছে জানতে চান।
নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমি বলেছি যে, আমাদের কমিশন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্বাচনী আইন-কানুন ও বিধি-বিধান সংস্কারের প্রস্তাব করবে। আমি আরও বলেছি, ভবিষ্যতে আইন-কানুন মেনে প্রস্তুত হয়ে নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করতে পারবে তাদের ব্যাপারে আমি কোনো বাধা দেখছি না। এছাড়াও এটি নির্বাচন কমিশনের বিষয়।
প্রসঙ্গত, এটি কারো অজানা নয় যে আইসিটি আইনে ইতোমধ্যেই অনেকগুলো মামলা রজু হয়েছেl শেখ হাসিনাসহ অনেক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছেl আওয়ামী লীগের নির্বাচন কার্যক্রম নির্ভর করবে এসব মামলা সুরাহার উপরl
কিন্তু কিছু গণমাধ্যম আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করছে, যা অনাকাঙ্খিত।তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ ও প্রাণহানির বিনিময়ে গত ০৫ আগস্ট এক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিগত কয়েক বছর ধরে আমি নানানভাবে ভূমিকা রেখেছি এবং এ জন্য নানাভাবে হেনস্তার স্বীকার হয়েছি। কিন্তু আমার বক্তব্যের ভূল ব্যাখ্যা প্রচার আমাকে ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে। আমি মনে করি, এ ধরনের অপপ্রচার শহীদ আবু সাঈদ ও শহীদ মুগ্ধের রক্তকে অস্বীকার করার শামিল।
//এল//
