ছবি: উইমেনআই২৪ ডটকম
টাঙ্গাইলে শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকায় জমে উঠেছে গড়ম কাপড়ের কেনাবেচা। সামর্থ্যবানরা শহরের অভিজাত মার্কেট থেকে কেনাকাটা করলেও সামর্থ্য না থাকায় কিনতে পারছেন না নিম্ন, মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষ। তাদের একমাত্র ভরসা জেলা শহরের কোর্ট চত্বর এলাকায় গড়ে ওঠা গরম কাপড়ের দোকান। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ কম দামে এখান থেকে তাদের পছন্দের শীতের পোশাক কেনেন।
বিক্রেতারা বলছেন, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নতুন ও পুরাতন পোশাক বিক্রি হচ্ছে এখানে। তবে এটি ‘গরিবের শীতের মার্কেট’ হিসেবে পরিচিত থাকলেও মধ্যবিত্তরাও এখান থেকে শীতের কাপড় কেনেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন সরকারি পরিত্যক্ত জায়গা ও কোর্ট চত্বর এলাকায় কয়েশ দোকান বসেছে। ক্রেতারও বেশ ভিড়। নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদেরও এখান থেকে কাপড় কিনতে দেখা গেছে। এই মার্কেটে ১০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা দামের শীতের কাপড় পাওয়া যায়।
বিক্রেতারা জানান, এবার কাপড়ের দাম বেল্ট (লট) প্রতি বেড়েছে ৪-৬ হাজার টাকা। যা বিক্রি করে অনেকের খরচই উঠানো কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। তারপরও নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনের জন্য অল্প টাকায় শীতের কাপড় তারা বিক্রি করছেন।
ক্রেতারা জানান, কম দামে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক এখানে পাওয়া যায় বলে তারা এখান থেকে কিনে থাকেন। যা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।
ক্রেতা সানোয়ার হোসেন বলেন, শহরের মার্কেট গুলোতে দাম বেশি থাকায় কোর্ট চত্বর এলাকায় গড়ে ওঠা দোকানে কাপড় কিনতে এসেছি। এখানে কম দামে বেশ ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায়। শুধু আমি নই, আমাদের এলাকার অনেকেই এখান থেকে কাপড় কিনতে আসেন।
পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের হাফিজুর রহমান বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিবারের আর্থিক অনটন দূর করতে কোট চত্বর এলাকায় পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা করছি। গত এক সপ্তাহ ধরে শীত বাড়তে থাকায় বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। যার ফলে বর্তমানে আমাদের বিক্রি বেড়েছে। এ ব্যবসা বছরের ৩ থেকে ৪ মাস করতে পারি।
তিনি আরো বলেন, এবার কাপড়ের দাম বেশ বেড়েছে। চট্টগ্রামে মাল আনতে গেলে বেল্ট প্রতি ৪-৫ হাজার টাকা বেশি দাম রাখছে। চাহিদা বেশি থাকায় বাড়তি দাম নিচ্ছে তারা। বিগত সময়ে পুরাতন শীতের কাপড়ের যে বেল্ট সর্বনিম্ন ২০-২৫ হাজার টাকায় আনা যেত। এবার সেই বেল্ট আনতে হচ্ছে সর্বনিম্ন ২৫-৩০ হাজার টাকায়। এতে আমাদের লাভ কিছুটা কম হচ্ছে। তবে সপ্তাহে প্রায় ৫ হাজার টাকা লাভ হয় বলে তিনি জানান।
ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ বলেন, আমরা সাধারণত সোয়েটার, ট্র্যাকসুট, বিভিন্ন ধরনের গরম জামা, মোজা, টুপি, বাচ্চাদের কাপড়, প্যান্ট-কোট, চাদর, কম্বল, ট্রাউজারসহ বিভিন্ন ধরনের শীতের কাপড় বিক্রি করে থাকি। আমরা চিটাগাং থেকে ‘বেল্ট হিসেবে’ এইসব শীতের কাপড় নিয়ে আসি। বিভিন্ন ধরনের বেল্ট বিভিন্ন রকমের দাম। বল ভাঙার পর কাপড়গুলোর একটা গড় মূল্য নির্ধারণ করে আমরা বিক্রি শুরু করি।
ইউ