সংগৃহীত ছবি
বরিশালের বানারীপাড়ায় ইলুহার ইউনিয়নের পবনেরহাটে সম্পত্তি জবর দখলের উদ্দেশ্যে তিন দফা হামলা চালিয়ে দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় বিএনপি নেতাসহ ৭ জনকে সুনির্দিষ্ট ও ৫/৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাতে ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পরিবার কল্যাণ সহকারি নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে বানারীপাড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন ইলুহার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাকিল আহম্মেদ, মোস্তফা কামাল, গোলাম কাওসার নবীণ, সেলিম গোমস্তা,মোঃ নিজাম, মোঃ সিরাজুল ও জাকির হোসেন। এছাড়াও মামলায় ৫/৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নুরজাহান বেগমসহ ১২ জন মিলে ১৯৯৭ সালে ইলুহার ইউনিয়নের পবনের হাটে ১৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে নুরজাহান বেগম জাইকার প্রধান রাস্তা সংলগ্নস্থান হতে ২ শতাংস সম্পত্তিতে দোকানঘর নির্মান করে ভাড়া দিয়ে ভোগ দখলে করে আসছেন।
দোকান ঘরসহ ওই সম্পত্তি জবর দখলের উদ্দেশ্যে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ও দুপুরে দুই দফা এবং মামলা দায়েরের খবর পেয়ে রোববার (৮ ডিসেম্বর) গভীর রাতে তৃতীয় দফা আসামীরা হামলা চালিয়ে দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় তারা নগদ টাকা ও মালামালসহ ওই দোকানঘর ভাংচুর করে নিশ্চিহৃ এবং লুটপাট করার পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুতের মিটারও খুলেও নিয়ে যায়। হামলাকারীদের এসময় বাধা দিতে গেলে তারা নুরজাহান বেগমকে প্রাণ নাশের হুমকি ও তার দোকানের ভাড়াটিয়া লাল মিয়াকে লাঞ্চিত করে টেনেহিচড়ে বের করে দেয়।
৯৯৯ এ ফোন পেয়ে লবণসাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ লিয়াকত আলী শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৩ টায় ও মামলা দায়েরের পরে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোকানঘরের টিনসহ কিছু মালামাল জব্দ করেছি।
বানারীপাড়া থানার ওসি মোঃ মোস্তফা বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা ও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এদিকে ইলুহার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাকিল আহম্মেদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। ###
//এল//