ফাইল ছবি
নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদল কর্মী শাওন হত্যা মামলা থেকে শেখ হাসিনা,স্বরাষ্টমন্ত্রী স্থানীয় এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাঁচাতে বাদিকে বাড়ি থেকে তুলে এনে হলফ নামায় স্বাক্ষর রাখার প্রতিবাদ ও ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। একইসঙ্গে আন্দোলনে শাওন সহ ২২ জন শহীদের বিচার চাওয়া হয়।
শনিবার (৫ অক্টোবার) দুপুরে বিএনপির চিনিশপুর কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন শহীদ ছাত্রদল কর্মী মো. শাওন মিয়া এর ভাই অলিউল্লাহ।
শহীদ ছাত্রদল কর্মী মো. শাওন মিয়া এর ভাই অলিউল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর আমার ভাই শহীদ মো: শাওন মিয়া আন্দোলনে একাত্ততা প্রকাশ করে। এবং ১৯ জুলাই মাধবদী আন্দোলনে সংক্রিয় ভূমিকা রেখে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে মিছিল বের করে। মিছিলটি সোনালী টাওয়ারের কাছে পৌছায়। সেখানে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা শেখ হাসিনার দোষরা মিছিলে নির্বিচারে গুলি করে। আমার ভাই মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ওই ঘটনায় আমি মাদবদী থানায় মামলা দায়ের করি। কিন্তু গত ২ অক্টোবর কতিপয় আইনজীবী আমাকে ভয় ভিতি দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে। তারা আইনজীবি সমিতি এনে মামলা তুলে নিতে জোর পূর্বক হলফ নামায় স্বাক্ষন নেওয়া হয়। খবর পেয়ে ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ ও সাধারন সম্পদক মেহেদী হাসান রিফাস সহ ছাত্রদলের কর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে।
শহীদ ছাত্রদল কর্মী মো: শাওন মিয়া এর ভাই অলিউল্লাহ আরো বলেন,আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। একই সাথে প্রশাসনের কাছে আমি আমার পরিবারের নিরাপত্তাও চাই। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের ভাই অলিউল্লাহ ছাড়াও তার মা ও ছাত্রদলের নেতকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ বলেন,হঠাৎ খবর পাই আন্দোলনে শহীদ হওয়া আমাদের ছাত্রদল কর্মী শাওনের ভাই ও মামলার বাদি অলিউল্লহকে বাড়ি থেকে কতিপয় আইনজীবি আইনজীবি সমিতির সভাপতির কক্ষে অবরোধ করে রাখা হয়েছে। এবং মামলা তুলে নিতে সেখানে তাকে ভয়ভিতি দেখানো হচ্ছে। এক পর্যায়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হলফ নামায় স্বাক্ষর রাখা হয়। তখন আমরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সেখানে গিয়ে অবরোধ অবস্থায় বারের সভাপতির কক্ষ থেকে অলিউল্লাহকে উদ্ধার করি। পরে হলফ নামায় স্বাক্ষর নেওয়া কাগজ উদ্ধার করা হয়।
নাহিদ আরো বলেন, আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের দলের লোক শহীদ হলো। আবার মামলা তুলে নিতে আওয়ামী আইনজীবীরা ভয়ভীতি দেখাবে তা মানা যায়না।
নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রিফাত বলেন, আন্দোলনে শহীদ শাওনের ভাই ও মামলার বাদিকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়ার খবর পেয়ে আমরা আইনজীবি সমিতিতে যাই। সেখান থেকে বাদিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
আইনজীবি সমিতির সভাপতি এড.কাজী নাজমুল ইসলামকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ইউ