ছবি সংগৃহীত
দিনাজপুরে আওয়ামীলীগ অফিস ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। দিনব্যাপী পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলমান রয়েছে। দিনাজপুর শহর পুরো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
শহরের দোকান পাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। যাননাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দুরপাল্লার যানবাহনও চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এখন পর্যন্ত পুলিশ সাংবাদিক ও আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীসহ প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছে। আওয়ামীলীগ অফিসসহ শহরের মোড়ে মোড়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষের সময় গ্রেনেট,সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
সকাল ১১টার সময় কোটা সংস্কারের দাবীতে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে আওয়ামীলীগ অফিসে ভাংচুর চালায়। এ সময় আওয়ামীলীগ অফিসে থাকা নেতা কর্মীদেরকে মারধর করা হয়। এতে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনাম উল্লাহ জ্যামী,যুগ্ম সম্পাদক নওশাদ ইকবাল কলিস্ক, ফোট সাংবাদিক নুর ইসলামসহ ২০ জন আহত হয়। এরপর শহর জুড়ে আন্দোলনকারীরা রাস্তায় নেমে পড়ে। পরে পুলিশের সঙ্গে চারুবাবুর মোড়, মর্ডাণ মোড়, নিমতলা মোড়, হাসাপাতাল মোড়, লিলির মোড়, বাহাদুর রাজার মোড়, ষ্টেশর রোডসহ সারা শহরে দফায় দফায় দাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। আন্দোলনকারীরা আওয়ামীলীগের ব্যানার ফেষ্টুন একত্রিত করে বিভিন্ন মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
দুপুর আড়াইটার সময় আন্দোলনকারীরা পুনরায় শাখারিপট্রি আওয়ামীলীগ অফিসে হামলা চালায় এবং অগ্নি সংযোগ করে। এ সময় আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে থাকা ১০টি মোটর সাইলে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা গিয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রণ করে। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ালীগ অফিস থেকে কালো ধাওয়া উড়তে দেখা যায়।
দুপুরে লিলির মোড়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় আব্দুর রশিদ নামে এক কনষ্টবলসহ ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
এসময় পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেসদ জানান, বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত আওয়ামীলীগ, পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে।